করোনার হাত থেকে মুক্তি পেতে বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের এ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দুর্গাপুজোর আয়োজন

5th May 2020 বাঁকুড়া
করোনার হাত থেকে মুক্তি পেতে বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের এ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দুর্গাপুজোর আয়োজন


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  করোনা'র দাপট বেড়েই চলছে। দিন দিন বাড়ছে সংক্রমণের সংখ্যা। এই অবস্থায় স্বাভাবিক জনজীবন স্তব্ধ। সংক্রমণ ঠেকাতে সোমবারই তৃতীয় পর্যায়ের লক ডাউনে প্রবেশ করেছে দেশ। এই অবস্থায় করোনার হাত থেকে বাঁচতে দেবী দুর্গার স্মরণাপন্ন হলেন বাঁকুড়ার পাত্রসায়রের নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুন বাজার সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির সদস্যরা।

   মঙ্গলবার সকালে ঢাকের বাদ্য সহযোগে স্থানীয় পুকুর থেকে ঘট আনা হলো।  সংক্রমণ রুখতে সামাজিক দূরত্ব মেনে হলো পুজাপাঠ। করোনার করাল গ্রাস আপামর বিশ্ববাসীকে রক্ষা করতে প্রার্থণা জানালেন নতুন বাজারের মানুষ। অতিরিক্ত মানুষের যাতে জমায়েত না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি ছিল পুজো উদ্যোক্তাদের।

  স্থানীয় বাসিন্দারাও এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তাদের কথায়, বিজ্ঞান তো আছেই, কিন্তু আধ্যাত্মিকতাকেও অস্বীকার করা যায়না। গ্রামবাসী মাম্পি ঘোষ, কার্তিক কোনাররা বলেন, শুধু নিজের পরিবার নয়, সমগ্র বিশ্ববাসী করোনা থেকে মুক্তি পাক। এই করোনা থেকে মুক্তি পেতে ঈশ্বরের স্মরণাপন্ন জরুরি বলেই ঐ গ্রামের অনেকে মনে করছেন।

   পুজো কমিটির সদস্য কমল মণ্ডল শ্রীরামচন্দ্রের 'অকালবোধনে'র প্রসঙ্গ তুলে বলেন, করোনাকে রুখতে আমরা আরো একটা অকালবোধন করছি। এই অবস্থা থেকে মানব সমাজকে মুক্তি দিতে পারেন একমাত্র 'মা'-ই বলে তিনি মনে করেন।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।